মোঃওবাইদুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম (প্রতিনিধি)
ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পরবর্তীতে অস্থিতিশীল সময়ে যখন ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যখন পতিত সরকারের লণ্ড-ভণ্ড করে রেখে যাওয়া দেশকে পুনর্গঠনে নিয়োজিত তখন পতিত স্বৈরাচার ও তাদের বিদেশী প্রভুরা আবারও প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হওয়ার দিবাস্বপ্নে বিভোর। দেশের জনগণকে সকল ভেদাভেদ ভুলে এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে। গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। নিশ্চিত হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত একটি পরিবারের বন্ধু, জনগণের নয়। তাদের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ১৯৪৭সালে প্রমাণিত রাজনৈতিক আদর্শ মুসলিম জাতিসত্তাই একমাত্র সমাধান। সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ছাড়া ছাত্র-জনতার বিশাল আত্মত্যাগ অর্থহীন হয়ে যাবে। সময়োপযোগী পরিবর্তন ও টেকসই গণতন্ত্রের জন্য মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণ অপরিহার্য। আজ (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বেলা ৩.০০টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর মুসলিম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব বলেন, মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণের কাজ চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হলো, জনগণ নিজ স্বার্থেই আবারও সারাদেশে মুসলিম জাতিসত্তাকে জাগিয়ে তুলবে। আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রোটারিয়ান এম.এ মতিন, কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত আলী, কাজী নাজমুল হাসান সেলিম, সম্পাদক কামরুল হুদা ও নেতা কর্মিগন উপস্থিত ছিলেন,