মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়, শার্শা (যশোর) :
যশোরের শার্শায় সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপনকে দলীয় পদ স্থাগিত করাতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ’ ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, ভিজিডির চাউল ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাদী থানায় কোন অভিযোগ না দিলেও রাকিবুল হাসান রিপনকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা রীতিমত উদোরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটেছে একটি মহল।
জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর শার্শার ৮ নম্বর বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডির ২০ বস্তা চাল উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিল তাছলিমা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন নারী সদস্যরা। এসময় বাগআঁচড়া টু নাভারণ সড়কের পাশে ইসমাইল হোসেনের চাতালের সামনে আসলে কয়েকজন যুবক তাদের চাল নিয়ে যেতে বাধা দেই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩ বস্তা চাল ছিনতাই করে নিয়েছে বলে দাবি করেন’ তাসলিমা খাতুন নামে এক নারী। এ ঘটনায় তাছলিমা খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এরপর থেকে এটিকে পুজি করে একটি মহল তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে রাকিবুল হাসানের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পটালে সংবাদ প্রকাশ করান।
একাধীক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে রাকিবুল হাসান রিপনকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এজাহারে নাম না থাকলেও তাকে জড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বাদী তাছলিমা খাতুন জানিয়েছেন, রাকিবুল হাসান রিপন নামে কেউ তাদের চাল ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিল না। অন্য কেউ তার নাম ব্যবহার করতে পারে। আমি যাদের নামে অভিযোগ করেছি মুলিত তারাই চাল ছিনতাই সাথে জড়িত ছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাকিবুল হাসান রিপন একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, তার দাদা ও পিতা ৮ নম্বার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এখানে বিএনপির দুটি গ্রুপ রয়েছে যে কারণে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও রাকিবুল হাসান রিপন ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে সে শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এর দায়িত্বে ছিলেন।
রাকিবুল হাসান রিপন জানান, আমি এসব নিম্ন কাজের সাথের সাথে কিভাবে জড়িত হই। এলাকার রাজনীতিতে একটি পক্ষ আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাছাড়াও বাদী থানায় আমার নামে কোন অভিযোগ বা মামলা দেয়নি। তারপরও আমি অপ রাজনীতির শিকার হয়েছি।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, তাছলিমা খাতুন নামে একজন নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন, যেখানে রাকিবুল হাসান রিপন নামে কোন ব্যক্তির নাম নেই।
গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল বাসার সুমনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা রাকিবুল হাসান রিপনকে দলীয় পদ স্থগিত ও তিন দিনের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে কেন তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যশোর জেলা বিএনপি’ ও জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানান।