খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক
খাগড়াছড়িতে মামলা রুজুর স্বল্প সময়ের মধ্যে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল সহ চোর চক্রের অন্যতম৩ সদস্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩অক্টোবর) ভুক্তভোগী মোঃ ইলিয়াছ হোসেন খাগড়াছড়ি সদর থানায় অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি দীঘিনালা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় কর্মরত আছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে,গত ১৮অক্টোবর দুপুরে অনুমানিক দেড় টার দিকে SUZUKI কোম্পানীর মোটরসাইকেলটি খাগড়াছড়ি সদরস্থ টিএন্ডটি গেইট অফিস টিলাস্থ বাদীর বসত ঘরের সামনে চলাচলের রাস্তার উপর রেখে জুমার নামাজ পড়ে এসে দেখেন যে,তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি যথাস্থানে নেই। পরে তিনি অনেক খোঁজা খুজি করেও বাইকটি না পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিত অফিসার ইনচার্জ খাগড়াছড়ি থানার মামলা নং-১০ ও ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু করে তদন্তভার এসআই(নিরস্ত্র) মিজানুর রহমান-কে দায়িত্ব দেয়া হয়।
পরে মামলার তদন্তে জন্য আধুনিক তদন্ত কৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তফিকুল আলম ও খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল বাতেন মৃধা এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিরস্ত্র) মিজানুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মামলা রুজুর স্বল্প সময়ের মধ্যে রামগড় উপজেলার মাস্টারপাড়া আবুল কালামের ছেলে এবং বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদরের সবুজবাগ এলাকার চোর চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ আব্দুল কাদের(২৬), মহালছড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আব্দুল কাদের ও মহালছড়ি কামারপট্টি এলাকার মৃত মো. সওতাগরের ছেলে মো. মনসুর-কে গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তি ও মহালছড়ি থানার পুলিশের সহায়তায় বাইকসহ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা চোর চক্রে সদস্য। দ্রুত সময়ের মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানা খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও চোরাইকৃত SUZUKI মোটরসাইকেলসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সদা সচেষ্ট ও বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়।