খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে প্রায় ২২৫টি গির্জা ও চার্চে শুরু হয়েছে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। চার্চের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চলছে ঘর বাড়ি সাজানো ও অতিথি অ্যাপায়নের প্রস্তুতি। খাগড়াছড়িতে আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে যীশু খীষ্ট্রের জন্মদিন পবিত্র বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর,মিলনপুর,আপার পেরাছড়া,গাছবান,চেলজছড়াসহ প্রায় ২১০টি গির্জা,ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট চার্চগুলোতেবড়দিন উদযাপনের লক্ষ্যে সাজসজ্জা চলছে। চার্চের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলছে ঘরবাড়ি সাজানো ও অতিথি অ্যাপায়নের পূর্ব প্রস্তুতি।
জানা যায়,খাগড়াছড়ি জেলার ৯উপজেলায় প্রায় ২ ২৫ টি চার্চ, গির্জা ও ক্যাথলিকগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে এবারের বড়দিন উৎসব। এছাড়াও পাড়া মহল্লা কেন্দ্রীক চার্চ গুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা শুরু হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান।
বুধবার সারাদিন চার্চে চার্চে শিশুদের উপহার সামগ্রী
বিতরণ,মধ্যহ্নভোজ,শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে পালিত হয়। চার্চ ভিত্তিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ঘরে ঘরে অতিথি অ্যাপায়ন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পালক হেমংকর ত্রিপুরা জানান, বড়দিন ঘিরে কয়েকদিন ধরে চার্চ কেন্দ্রীক বিভিন্ন খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
চয়নিকা ত্রিপুরা জানান,বড়দিন হচ্ছে প্রভু যিশুর জন্ম তিথি। এ দিবসটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষ্যে আমরা সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করে থাকি।
পুষ্পিতা ত্রিপুরা জানান,বড়দিন উৎসব আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এদিন প্রতিটি গির্জায় ও চার্চগুলোতে সকল বয়সী নারী-পুরুষ সমবেত হয় এবং পরিবার,সমাজ, দেশ ও জাগতিক সুখ-শান্তি-মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
মিতালী ত্রিপুরা জানান,বড়দিনে আমরা অনেক আনন্দ
করি,অনেক মজা করি। এই দিনটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন।
বীণা ত্রিপুরা ও জিনিয়া ত্রিপুরা বলেন,আজকে আমাদের প্রভর যিশুর জন্মদিন। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, বড়দিন উৎসব নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পালন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বড়দিন উপলক্ষ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চার্চগুলোতে আমাদের ৪জন পুলিশ সদস্য ও ১জন করে অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন করছে। যাতে করে এই উৎসবে অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখরভাবে উদযাপন করতে পারেন। সেজন্য নিরাপত্তার কোথাও কোন ধরনের ঘাটতি না থাকে,আমরা সার্বক্ষণিক
মনিটরিং করছি। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারবে।