
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও শ্রেষ্ঠ পাঠাগারের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(০৫ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়৷ শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, নির্বাচিত তিনটি শ্রেষ্ঠ পাঠাগারকে সনদপত্র ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেল্ পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন,একটি জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম, আর সেই শিক্ষার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো গ্রন্থাগার। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার’ সত্যিই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন,গ্রন্থাগার শুধু বইয়ের সংগ্রহশালা নয়, এটি একটি জাতির জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। প্রযুক্তির এই যুগে যখন মানুষ সহজেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য পাচ্ছে, তখন গ্রন্থাগারের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।
আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করা এবং গ্রন্থাগারের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। জ্ঞান অর্জনের এই পথকে সুগম করতে সরকারও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে গণগ্রন্থাগার অন্যতম। এ সময় প্রথম স্থান অর্জনকারী পাঠাগার চাকমা সাহিত্য বাহ লাইব্রেরি,দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মাস্টার দা সূর্যসেন গণ-পাঠাগার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মহালছগি হেমন্ত পাড়া পাঠাগারের প্রতিনিধিদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তফিকুল আলম,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ,জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক ও লাইব্রেরিয়ান ওয়েন চাকমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
