
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: “এক শহিদ, এক বৃক্ষ”-একটি বৃক্ষ শুধু মাটি নয়, রোপিত হলো ইতিহাস, রোপিত হলো আত্মত্যাগের প্রতীক!
শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে খাগড়াছি সরকারি কলেজ মাঠে এক অনন্য উদ্যোগে পালিত হলো গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের ব্যতিক্রমী আয়োজনে শহিদ মো. মজিদ হোসেনের নামে নামফলকসহ একটি পলাশ গাছ রোপণ করা হয়। পলাশ—প্রতীক সাহসের, আগুনঝরা অঙ্গারের মতো যার রঙ আজ বুকে বহন করছে এক শহিদের আত্মদানের স্মৃতি।
বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, আর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
এ সময় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা,জেলা এনএসআই’র যুগ্ম-পরিচালক নাছির মাহমুদ গাজী,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার,প্রেস ক্লাব সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য,খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সরাফত হোসেন,খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পুলক বরণ চাকমা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়,শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান ও রাকিব মনি ইফতিসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ছাত্রপ্রতিনিধিরা।িরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃক্ষরোপনকালে অতিথিরা জানান,”যারা জাতির জন্য আত্মদান করেছেন, তাদের নাম যেন মুছে না যায় সময়ের স্রোতে। প্রতিটি বৃক্ষ তাদের জীবনের প্রতীক হয়ে উঠুক—সবুজ হয়ে বাঁচুক সেই ইতিহাস!”
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুধু একটি কর্মসূচি নয়—এটি চলমানভাবে খাগড়াছড়ির প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
তারুণ্যের কণ্ঠেও গর্জে উঠলো শ্রদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান বলেন,”আজ আমরা শুধু গাছ নয়, ইতিহাস রোপণ করেছি। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মিনার!”
খাগড়াছড়ির আকাশে সেই সকাল যেন একটু বেশি নীল ছিল, পলাশ গাছের পাতায় যেন আজ একটু বেশি কাঁপন। শহিদদের স্মরণে গাছ রোপণ শুধু একটি প্রকল্প নয়—এটা আমাদের হৃদয়ের মাটি চাষ করার দায়িত্বের অংশ।
“এক শহিদ, এক বৃক্ষ”—এই কর্মসূচি শুধু বৃক্ষরোপণ নয়, এটা একটি জীবন্ত শ্রদ্ধার স্তম্ভ গড়ার শুরু।
