
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার বুকে গর্জে উঠেছে এক অনন্য সবুজ বিপ্লব। ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলে দেখা যায়, জুলাই-আগস্ট মাসটি শুধু গ্রীষ্মের নয়, সংগ্রামেরও—এ মাসেই ঘটেছে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান, ঝরেছে শহীদের রক্ত। সেই বীর শহীদদের স্মরণে এবারের শ্রদ্ধা জানানো হলো এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মাধ্যমে—৫০ হাজারের অধিক বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কলাবাগান বৈঠক প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছিল সবুজময় মিলনমেলা। পরিবেশপ্রেমী, রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র, যুবক, নারীকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এই কর্মসূচিতে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের প্রধান উদ্যোক্তা খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি।
এদিন জেলা শহরের প্রধান সড়কের পাশে গাছ লাগানোর মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে এই বৃক্ষরোপণ শুধুমাত্র স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক সাহসী বার্তা।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার।
তিনি বলেন— “যারা গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা আজকের স্বাধীন রাষ্ট্রের ভিত্তি নির্মাণ করেছিলেন। তাদের স্মরণ শুধু বক্তব্যে নয়, কর্মে—আমরা গাছ লাগিয়ে সে স্মৃতিকে জীবন্ত রাখছি।”
তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, আবু তালেব,জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ,মহিলাদলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান,স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম,যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াসিম,ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম জাহিদ,বর্তমান ছাত্রদল সভাপতি আরিফুল ইসলাম জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল দেওয়ানসহ বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এমন সচেতন পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি শুধু গাছ লাগানো নয়, বরং এটি হলো পরিবর্তনের শেকড় গেড়ে দেওয়া।
এ কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নয়—এটি এক আন্দোলন, যেখানে ইতিহাস, পরিবেশ ও সমাজের প্রতি ভালোবাসা একীভূত হয়েছে।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুধু খাগড়াছড়ির মানুষ নয়, সমগ্র দেশের নাগরিকদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক—যেখানে রাজনীতি মানে শুধু আন্দোলন নয়, দায়িত্বও।
