ধুমঘাট হাঁসার খাল উন্মুক্তর দাবি জানান সাধারণ জনতা

বাবলুর রহমান (বাবু) উপজেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর থানা ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধুমঘাট গ্রামের হাঁসার খাল ফরম নং ২২২ পৃষ্ঠ নং ১৯ উন্মুক্তের জোর দাবি জানান এলাকা বাসি।

এলাকাবাসী জানান খালটা ইজারা দারিত্ব হওয়ায় পানি নিকাশের সুব্যবস্থা না থাকায় আমাদের ধান চাষ করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এবং প্রতি বছর রোপন ধান ডুবে গিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তারা এটাও জানান খালে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ সৃষ্টি এবং নেট পাটা দিয়ে আটকায়ে রাখায় জলবদ্ধতা হয়ে বসবাস করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।আগে আমরা হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতাম, বর্তমানে আমাদের হাঁস গুলা ও খালে নামতে দেওয়া হয় না,সরকারি খালে গোঁসল করতে নামলে আমাদের কে চুরির অপবাদ ও মান অপমান করা হয়।

এবং ধুমঘাট এলাকার মাছ চাষ কারীরা জানান অতি বৃষ্টিতে খালের পানি ভালো ভাবে নিঃকাশন না হওয়া আমাদের ঘের ডুবে গিয়ে অনেক ক্ষতি গ্রস্তর সম্মুখীন হয়। এরা আরো জানান খালের পাড়ের উপার ঘেরা দিয়ে এমন ভাবে সবজি চাষ করছে যে চলা ফেরা করতে অসুবিধা হয়।ঘেরা ওঠানোর কথা বলা হলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় ধমক দেওয়া হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগ হল খালটা ১ লাখ ১২হাজার টাকা ইজারা নিয়ে ৩ লাখ ৮৭হাজার টাকায় বিক্রায় করে।এলাকার প্রভাবশালী নেতাদের কিছু টাকা দিয়ে হাত করে রাখে।এলাকা বাসি উন্মুক্তর কথা বললে সেই সব নেতা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সাধারণ জনতার ভয় ভিতু দেখায়ে তাদেরকে দামিয়ে রাখা হয়েছে এযাবত কাল।

কিছু গ্রাম বাসি বললো আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খাল উন্মুক্তের জন্য দরখাস্ত করলে বা দরখাস্ত সিগনেচার করলে আমাদের কে হুমকি ধামকি ও মামলার দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

শৈরাচারের দোসররা যে ভাবে মেরে কেটে খেয়ে গেছে আজ আমরা ২০০ থেকে ৩০০ জনতা একিত্রিত হয়ে, ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের মেম্ববর এবং মহিলা মেম্বরকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ জানাছি , শৈরাচারের আমল আর দেখতে চাই না,স্বাধীন বাংলাদেশে সব কিছু স্বাধীন দেখতে চাই।

তাই এমতাবস্থায় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইজুর রহমান ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শ্যামল কুমার মন্ডল এবং ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যানের উন্মুক্তের সয়তা নিয়ে তারা,

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আকুল আবেদন ইজারা বাতিল করে অতি শিগগ্রিরই হাঁসার খালটি উন্মুক্ত করে। কালভার্ট বসানো হোক। যাহাতে অতি বৃষ্টি পানি নিঃস্কাশন হয়ে ধান চাষ করার উপযোগী হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *