সৈয়দ এনামুর রকিব , ইসলামপুর (জামালপুর): বর্তমান ডিজিটাল যুগেও ইসলামপুরে মাটির রাস্তায় চলাচল করে একটি ইউনিয়নের মানুষ। কিন্তু চলতি বৃষ্টিপাতে সেই রাস্তা কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। ফলে মাটির এ ৪ কিলোমিটার সড়কে চলাচল করতে পারছে না ৭/৮ গ্রামের হাজারের উপর পরিবারের সদস্যরা। ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের বোলাকীপাড়া পুরাতন বাজার থেকে ছত্তর হাজীপাড়া ও মোশারফের বাড়ি হয়ে দশআনি খেওয়া ঘাট পর্যন্ত সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। এ কারণে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বোলাকীপাড়া পুরাতন বাজার থেকে ছত্তর হাজী পাড়া ও মোশারফের বাড়ি হয়ে দশআনি খেওয়া ঘাট পর্যন্ত আশেপাশের গ্রামের প্রায় ৭/৮ শতাধিক পরিবারের বসবাস। বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকাবাসী ৪ কিলোমিটার মাটির রাস্তায় চলাচলে চরম সমস্যায় পড়ে। এ রাস্তায় চলাচলে তারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অথচ তাদের এ দুর্ভোগ দেখার ও সমাধানের কেউ নেই। কাঁচা মাটির সড়কটি বর্তমানে বৃষ্টিপাতে পানি কাঁদায় একাকার হয়ে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে মাটির রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে ৪ শতাধিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এলাকায় মৎস্যজীবীরা বসবাস করায় তাদের উৎপাদিত মাছ ও মাঠে উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে যেতে চরম সমস্যায় পড়ে। এরপরও হঠাৎ কেউ মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে সড়কের কারণে। এই রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এছাড়াও কিছু মৎস্য খামার ও মুরগির ফার্ম আছে, রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সেগুলো প্রায় বন্ধের পথে। জামালপুর ইসলামপুরে শহরে যাতায়াতের জন্য এই একটি রাস্তা দিয়েই তাদের চলাচল করতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম রেজা পান্নু নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছর বর্ষাকালে রাস্তাটিতে ইট, খোয়া দিয়ে সামান্য চলাচলের উপযোগী করেন। এ কাজে কিছুটা স্বস্তি হলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পানি কাঁদায় চলাচল করতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ মনে করে আশেপাশের প্রায় সব রাস্তা এখন পাকা হয়ে গেছে, কিন্তু এই রাস্তাটি এখনো মাটির রয়ে গেছে। এই মাটির রাস্তাটি নিয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। তাদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করে পাকা করা হলে জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে উন্নয়ন কাজের কোন বরাদ্দ নেই। যার জন্য রাস্তাটি সংস্কার করতে পারছি না। বরাদ্দ এলেই ওই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।