মো: মেহেদী হাসান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
গত রাতের অভিরাম বর্ষণ আর ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৪ নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো হচ্ছে, নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী, ঝিনাইগাতীর মহারশি এবং শ্রীবরদীর সোমেশ্বরী নদী। শুক্রবার(৪ অক্টোবর) ভোর রাতে আকস্মিক এই পাহাড়ি ঢলের পানিতে মহারশি নদীর রামেরকুড়া,খৈলকুড়া,দিঘীরপাড় ও ডাকাবর এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে সদর বাজার সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হয়। রামেরকুড়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ী নদীর গর্ভে বিলীণ হয়ে যায়।অপরদিকে শতশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে শতশত একর রোপা আমন ধানের ক্ষেত,ঝিনাইগাতীর সদর বাজারে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সহ অন্যান্য ফসলের মাঠ। পানিবন্দি হয়ে পরেছে উপজেলা সদরের কয়েকটি গ্রাম সহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শহর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতংকে রয়েছে জেলার তিন উপজেলার বাসিন্দারা। তবে এখনো কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালির নদীর পানি বিপদ সীমার ৫২৫ সে.মি এবং ভোগাই নদীর পানি ৫৬সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে বেড়েছে মহারশি,সোমেশ্বরী, মৃগী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে ঝিনাইগাতীতে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩২০ মিলিমিটার।