
খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খাগড়াছড়ি শহর এক প্রাণবন্ত প্রতিবাদ নগরীতে পরিণত হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ কাদের সড়ক থেকে শুরু হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শপালা চত্বরে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। হাজারো যুবদল নেতাকর্মীর ক্ষোভে উচ্ছ্বসিত শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় পাহাড়ি জনপদ।
“গণমানুষের নেতা জিয়াউর রহমানের অসম্মান বরদাস্ত করা হবে না” সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এই জাতি কখনো শহীদের অসম্মান মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
”তিনি আরও বলেন, “জনগণ জেগে উঠেছে, আজ পাহাড়ে তার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ,এবং বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা ও জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির সিকদার।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন: জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব,প্রচার সম্পাদক আহসান উল্লাহ,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মফিজুর রহমান,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন,ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম জাহিদ,যুবদলের সহ-সভাপতি আমির খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক কমল বিকাশ ত্রিপুরা ও মিজানুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াসিম,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান সাগর ও সদস্য সচিব হৃদয় নূর,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল দেওয়ান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পি দাশ প্রমুখ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলন জোরদার: নেতারা বলেন, বারবার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সম্মানহানি করার চক্রান্ত চলছে। কিন্তু জনগণ এ ধরনের কু-রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং যুব সমাজ রাজপথেই তার জবাব দিচ্ছে।
দাবি—দোষীদের শাস্তি ও জাতীয় নেতাদের সম্মান রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে:সমাবেশ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়—দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলন আরও জোরালো হবে এবং দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়বে। এই প্রতিবাদ শুধু ছবি অবমাননার বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি দেশের ইতিহাস, আত্মপরিচয় ও রাজনীতির মূল্যবোধ রক্ষার লড়াই হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।