খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
সম্প্রীতির কোন বিকল্প নাই। সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি জেলা হোক খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। জাতি-ধর্ম- বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে মিলে আমরা বৈষম্যহীন সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি বির্নিমানে কাজ করব। জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এ পার্বত্য জেলা পরিষদ। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি সকলের আস্থার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবে আমার এই ১০তম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ। আমাদের এ কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সার্বিক উন্নয়নে আপনাদের সুপরামর্শ প্রদানের দরজা আমি সবসময় খোলা রাখলাম আপনাদের সাথে সামনে আরো কথা হবে নানান কাজে। রবিবার(১০নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
এ সময় জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসাসহ নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের সদস্য এ সময় উপস্থিত হয়ে পরিচয় পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন পরিষদে ১৪জন সদস্য হলেন শেফালিকা ত্রিপুরা,প্রফেসর আবদুল লতিফ,প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা,বঙ্গমিত্র চাকমা,অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজ্য মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা,মো: শহিদুল ইসলাম,জয়া ত্রিপুরা,এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা,মো: মাহবুবুল আলম।
জানা যায়, জিরুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১০ম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান। পাৰ্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের পর থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী চেয়ারম্যান ১৯৮৯ সালে বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই দীর্ঘ বছর ধরে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে জেলা পরিষদের কার্যক্রম
পরিচালনা করা হচ্ছে সামগ্রিক উন্নয়ন তথা সরকারি ৩৩টি বিভাগ বা সব বিভাগ জেলা পরিষদের হাতে ন্যাস্ত।