ঢাকায় আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘শহীদী মার্চ’

নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নিয়েছেন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারীরা।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে সাড়ে ছয়শ মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়-ইউএনএইচসিআর।

আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, “আজ থেকে প্রায় এক মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ পাওয়ার এক মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা আমাদের হাজারেরও বেশি ভাইকে হারিয়েছি; যারা শহীদ হয়েছেন।
“আমরা অসংখ্য ভাইকে আহত অবস্থায় এখনো হাসপাতালে দেখতে পাই। অনেকের হাত নেই, অনেকে তাদের পা হারিয়েছেন। অনেকে চোখ হারিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আমাদের মনে হয়েছে- আমরা কীভাবে আমাদের এই ভাইদের জন্য কী করতে পারি, কীভাবে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারি।”

সারজিস বলেন, “যে ক্ষতি তাদের পরিবারের হয়ে গেল, এই পার্থিব দুনিয়াতে সেটি পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানাতে পারি। দোয়া করতে পারি।

“সে জায়গা থেকে আজকে আমরা একটি শহীদী মার্চ আয়োজন করেছি। আমাদের সকল শহীদ ভাইদের স্মরণ করে, সকল আহত ভাইদের শ্রদ্ধা জানাতে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়ে নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে), ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্য দিয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হওয়ার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *