সুমন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মানবতাবিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ঘাতকদের সমর্থক ও উস্কানীদাতা, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চট্টগাম চেম্বারের সেক্রেটারি ইনচার্জ মোঃ ফারুক চট্টগ্রাম চেম্বারের ল্যাপটপ, লেটারহেড ও মেমোবই চুরি করে কুক্ষিগত করে রেখেছে।
সূত্রমতে, ১৩ এপ্রিল ২০০৮ সালে মাত্র ২৪ হাজার টাকায় তাকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে ১৪ জুন ২০২৩ এ লতিফ পুত্র ওমর হাজ্জাজ স্মরণাতীতকালে ৬৩ টি ইনক্রিমেন্ট দিয়ে তার বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১.৫০ টাকা নির্ধারণ করেন।
ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন ‘অনুবিভাগ’ সমীপে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সুত্রে জানা যায়, “২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং চেম্বার সভাপতি পদত্যাগ করে।”
কিন্তু, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চেম্বার এর ডেসপাস সেকশনে পদত্যাগকারী চেম্বার সভাপতি একটি পত্রে সেক্রেটারি ইনচার্জ মো: ফারুককে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় সেক্রেটারি জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
চেম্বার মেমোরান্ডাম অব আরটিকেলস এ এই ধরনের কোনো পদ নেই এবং এই প্রমোশনপত্রের মেমো নং ভূয়া। একারণে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন মো: ফারুককে পদচ্যুত করার জন্য ডিটিও সমীপে আবেদন জানায় এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলন করেছে। জয়েন্ট সেক্রেটারি থেকে সুপারেন্ডেন্ট পর্যন্ত ২০ জন অফিসার সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া এই সেক্রেটারি ইনচার্জ লতিফ মাহবুব গংকে পোর্টে গ্রান্ডে ইউনিভার্সিটির জন্য মাত্র ৪০ টাকা বর্গফুটে ভাড়া দিয়েছে যা ৭০ টাকা বর্গফুটে ভাড়া চলছে। এক্ষেত্রে ১৫ মাসের ভাড়া বাকি রয়েছে বলে সূত্রমতে জানা যায়।
বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আরমান গ্লাস কোম্পানি ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শেষ করেছে যেখানে ফারুক ২ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছে। বাদামতলীস্থ চেম্বার হাউজ ভাঙার ব্যাপারেও সে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাকে পদচ্যুত করা না হলে আগামী নির্বাচন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে না বলে ব্যবসায়ীমহল অভিমত প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে সে লতিফ পুত্র ওমর মুক্তাদির, পিএইচপির পারভেজ, আওয়ামী লীগের ওহিদ সিরাজ চৌধুরী, অগ্নিঘাতক বিএম কন্টেইনার এর পেট্রোনাইজেশন এডমিনিস্ট্রেটর এর রুমে শেল্টার নিয়েছেন।
এডমিনিস্ট্রেটর ও ফারুক দুজনের বাড়িই ফটিকছড়িতে। এক্ষেত্রে বিরাট অঙ্কের লেনদেন হয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নুরুল আবসার চৌধুরী (চেম্বারের জয়েন্ট সেক্রেটারি), লতিফের লোক শাহেদ আলী টিটু, আনিসুর রহমান, মেম্বারশিপ সেকশনের সালাউয়াত ভুয়া ভোটার বানাচ্ছে এবং সংগ্রামরত এমপ্লয়িজদের মানসিকভাবে টর্চার করছে। চেম্বার সদস্যবৃন্দ ইলেকশন বোর্ড ও আপিল বোর্ডে (যা মেম্বার সদস্য থেকে নির্বাচন করতে হব)।
ফ্যাসিস্ট সহায়ক কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত না করার পরামর্শ প্রদান করেছে। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর মেম্বারশিপ সেকশনের লতিফের লোক মাহবুব আলম মেম্বারশিপের ফর্ম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অর্ডিনারি ও এসোসিয়েট গ্রুপের প্রায় দেড় হাজার ভুয়া/ পকেট ভোট রয়েছে। সেগুলি বাতিল করতে হবে।