
রোকনুজ্জামান সবুজ, জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রেজ্জাক এর বিরুদ্ধে গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে, ধর্মমন্ত্রীকে ব্যবহার করে নানা অনিয়ম,অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য,অবৈধভাবে কমিটি গঠন ও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা উত্তোলনসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে ২০২৩/২৪ অর্থবছরের শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ, বইপত্র উপকরণ,ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা বাবদ,সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং কর্মচারীদের অভিযোগ আব্দুর রেজ্জাক প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক কোন প্রকার টিউশন ফি টাকা পাই নাই। প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়-স্বজন দিয়ে অবৈধভাবে কমিটি বোর্ড থেকে জালিয়াতি করে কমিটির অনুমোদন নেয় এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয় জহুরুল হক স্বাক্ষরিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জাল সনদ ও ভুয়া নিবন্ধন দিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া,বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে না আসা,বিদ্যালয়ের সরকারি ল্যাপটপ,প্রজেক্টর, কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে বাসায় নিয়ে যাওয়া,উপবৃত্তির ভুয়া নাম দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া,প্রতিবছর বই বিতরণের সময় ছাত্র ও ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া,এসএসসি ও এইচএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের নিকট হতে রেজিস্ট্রেশন ফরম ফিলাপ ও নকল করার সহায়তা আশ্বাস দিয়ে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া, সরকারি অনুদানের টাকা বিদ্যালয় এর উন্নয়নমূলক কাজ না করা,তার অবৈধ আয় দ্বারা তার মেয়েকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে দেয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রেজ্জাকের বিরুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর/২০২৪ইং তারিখে এলাকাবাসী তার অপসারণ চেয়ে এলাকায় মানববন্ধন করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় অফিসিয়াল কাজ সহ সকল কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান অভিযোগটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে গোয়ালেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
