
মাহফুজুর রহমান সাইমন, শেরপুর প্রতিনিধি :খালু কর্তৃক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাগিনী (৩৫) অন্তঃসত্ত্বা। আলামত নষ্ট করতে ডিএনসি করলো স্বপ্না বেগম ওরফে সুমি নামে এক নার্স। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্দভাটপাড়া গ্রামে।
গত বুধবার (৯জুলাই) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এই আলামত নষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা ৪ব্যক্তিকে আসামী করে সোমবার (১৯জুলাই) থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সন্ধ্যায় ধর্ষক শওকত জাহান (৫৫) কে আটক করে পুলিশ।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বন্দভাটপাড়া গ্রামের মৃত ছামাউল ফকিরের ছেলে ও অটো চালক মো. শওকত জাহান (৫৫) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই মেয়ের আপন খালু। আত্মীয়তার সুবাদে শওকত জাহান প্রায় তার শ্যালিকার বাড়ীতে যাতায়াত করত।
এদিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর বাবা ব্যবসার কারণে এবং তার মা বিভিন্ন কাজে বাড়ীর বাহিরে থাকায় শওকত জাহান তার শ্যালিকার বাড়ীতে এসে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে ধর্ষণ করতো।
বিষয়টি প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের গত ৫তারিখ রাতে ওই প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের সময় ধর্ষিতার মা হাতেনাতে ধরে ফেললে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে চলতি মাসের ৯তারিখ রাতে ধর্ষিতার বাড়ীতে গিয়ে ধর্ষিতার মাকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঝিনাইগাতী হাসপাতালের কর্মরত নার্স স্বপ্না বেগম ওরফে সুমি, ধর্ষকের স্ত্রী ছইমন বেগম ও তার বোন মমেনা বেগম জোরপূর্বক ডিএনসি’র মাধ্যমে আলামত নষ্ট করে।
পরে ধর্ষকের পরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
গত সোমবার(১৯জুলাই) সকালে ঘটনাটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে ধর্ষিতার মাতা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এই নেক্কারজনক ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের দাবী জানান এলাকার সুধিমহল।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক শওকত জাহানকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও
গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।