সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুর নগরীর চেকপোস্ট এলাকায় আগুনে পুড়ে আশিকুর ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
আশিকুর ইসলাম এর বাড়ী লালমনির হাট জেলার সদর খুনিয়াগাছি ইউনিয়নের বাশঁদহ নামক গ্রামের মৃত.মোজাম্মেল হকের ছেলে।
আশিকুর ইসলাম এর স্ত্রী জানান, গত ২৮ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে আমার স্বামী বাসা থেকে নামাজ পড়ার কথা বলে বেরিয়ে যান, রাতে বাসায় না ফেরায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি ও সন্ধান করে ও পাওয়া যায়নি, গত ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হইতে এক ব্যক্তির ফোন কল আসে, আশিকুরের স্ত্রী সেই ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, তার স্বামী খুবই অসুস্থ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪নং ওয়াডে ভর্তি আছেন। সেই কথা শুনে আশিকুরের স্ত্রী এবং তার ছোট ভাই এমদাদ সহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান, সেখানে গিয়ে আশিকুরের স্ত্রী দেখেন যে, তার স্বামীর পুরো শরীর আগুনে ঝলসে গিয়েছে, শারীরিক বেহাল অবস্থা ও গুরুতর হওয়ার কারণে ১৪ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিকুরের স্ত্রী কে বলেন যে, তাকে জরুরী ভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( বার্ন ইউনিট) এ নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী আশিকুরের স্ত্রী ও তার ছোট ভাই সহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে আশিকুরকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর রাত ৯:৩০মি: আশিকুর ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন
আশিকুর ইসলাম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণের কথা তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান যে, আমরা এই ঘটনার বিষয় কিছুই বলতে পারছি না, তবে ঘটনার গত বেশ কিছুদিন আগে আমার স্বামীর সাথে পার্শ্ববর্তী কিছু ব্যক্তির সংগে মিলন বাজার আমসাগর পুকুর নিয়ে ঝামেলা চলছিল এলাকার কিছু ব্যক্তির সাথে ,সেই ঘটনার পর থেকে আমার স্বামীকে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। আমার সন্দেহ হয় যে,তারা আমার স্বামীকে আগুনে পুড়ে হত্যা করেছে, আমি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ঘটনার সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিচাই।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার (ওসি তদন্ত) জানায় যে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি তবে বিষয়টা আমরা জানি তদন্ত চলছে।