রাঙামাটি শহরকে “বিশুদ্ধ বাতাসের শহর” ঘোষণার প্রস্তাব

মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির ,রাঙামাটি: স্বচ্ছ জলের বুকে ভেসে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর কাপ্তাই হ্রদ, বন-বনানী, ঝর্ণা আর সবুজ পাহাড়ে বেষ্টিত দেশের সর্ববৃহৎ পার্বত্য রাঙামাটি জেলা। প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর অপূর্ব পাহাড়ি এই জেলাটিতে নির্মল প্রকৃতির বিশুদ্ধ, দূষণমুক্ত শীতল বাতাসে বিষয়টি নজর কাড়ে সকলের।

তাইতো রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে বিবেচিত করার প্রস্তাবনা উঠে এসেছে স্থানীয়দেও কাছ থেকে। সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এই প্রস্তাবনা উঠলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান এই প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও সমীক্ষা করে রাঙামাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারনা নিয়ে রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবো। এরআগে সভায় রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা কতৃক পর্যটন শহর রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহরের স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হলে সকলেই এই প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানায়।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সন্তান সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুদক্ষ কর্মকর্তা প্রকৌশলী সবুজ চাকমা সভায় জানান, একিউআই বেসিকস ফর ওজন এন্ড প্রাক্টিকেল পলিওশন এর তথ্যানুসারে ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত গুড এয়ার কোয়ালিটি, ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মডরেট এয়ার কোয়ালিটি, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত আনহেলথি এয়ার কোয়ালিটি এবং ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত সেনসেটিভ গ্রুপ আনহেলথি কোয়ালিটি হিসেবে পরিমাপ অনুসারে রাঙামাটি শহরে ১৭ থেকে ২০ এর মধ্যে গুড এয়ার কোয়ালিটি বিদ্যমান থাকে। এই পরিমাপের আলোকে রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা করা হলে অত্রাঞ্চলের বিষয়টি দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে বলে জানান প্রকৌশলী সবুজ চাকমা।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোবাইদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহামদ শফি, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ সংশ্লিষ্টরা।

সভায়, জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সন্ত্রাস ও নাশকতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং, জেলার স্বাস্থ্য সেবা, মাদক, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন, পলিথিন ব্যাগ বন্ধসহ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনাসহ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

১৯৮৯ সালে নরওয়ে সরকার জ্যাপলিন পর্বতের ঢালে ৪৭২ মিটার উঁচুতে নির্মাণ করে ‘জ্যাপলিন অবজারভেটরি’- একটা রিসার্চ স্টেশন, যেখানে বসে বিজ্ঞানীরা দেখেন পৃথিবীর আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা। বুঝতে চেষ্টা করেন বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের গতি-প্রকৃতি আর দূষণের মাত্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *