ভাতার টাকা আত্মসাৎ ইউপি সদস্যের উপর অভিযোগ

ফরহাদ হোসাইন, কয়রা খুলনা প্রতিনিধ :

খুলনার কয়রায় হাসানুর রহমান নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খিরোল গ্রামের ভুক্তভোগী নারী জুলেখা বিবির (৭০) ছেলে আয়ুব আলী মল্লিক বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুলেখা বিবি অনলাইনে আবেদন করে আমাদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাচাই-বাছাই শেষে বয়স্ক ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরে তালিকায় টাকা পাওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির ২১ মাস যাবৎ বৃদ্ধার মোবাইলে বয়স্ক ভাতার টাকা যায়নি। এ বিষয়ে মেম্বার হাসানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পারেন জুলেখা বিবির নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা একটি অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে তারা জানতে পারেন, এটা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের আপন ভাই আক্তার মোড়লের। তিনি প্রতারণা করে তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ৭ কিস্তিতে মোট ১২ হাজার ৮১০ টাকা নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী জুলেখা বিবির ছেলে আয়ুব আলী বলেন, শুধু আমাদের ভাতা নয়, ওই ইউপি সদস্য আরও অনেকের ভাতার টাকা এভাবে আত্মসাৎ করেছেন। বাকি টাকার জন্য ইউপি সদস্যের কাছে আমরা অনেকবার গিয়েছি। তিনি আমাদের কোনো পাত্তাই েদই না। বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেছি, কিন্তু তাতেও কোনো ফলাফল দেখছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. হাসানুর রহমান বলেন, জুলেখা বিবি ও তার ছেলে আয়ুব আলী আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টা নিয়ে আমি সমাজসেবা অফিসে যাই। গিয়ে দেখি তার অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুলের কারণে টাকা যায় না। তখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাৎক্ষণিক আমার ভাইয়ের ছেলের অ্যাকাউন্ট সেখানে দিই। দুই কিস্তির টাকা আমার ভাইপোর নম্বরে ঢোকে। কিন্তু ভাইপো সেটা অস্বীকার করে বলে তার নম্বরে কোনো টাকা আসেনি। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তাদের দুই কিস্তির টাকা আমি দিতে চেয়েছি।

এ ঘটনায় কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *