সাজেক থেকে খাগড়াছড়িতে ফেরার পথে পর্যটকবাহী গাড়ী খাদে; আহত-১০

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে জিপ উল্টে ১০ পর্যটক আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সাজেক থেকে খাগড়াছড়িতে ফেরার পথে হাউজ পাড়ায় তাদের বহনকারী জীপ গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ঢাকার ডামরাইল থেকে মো. নাঈম,মো. নিরব মো. হৃদয়,মো. ইশরাফিল,মো. সোহেল,মো. উজ্জ্বল,মো. শাকিল,আরমান,মো. সাইফুল,মো. জাকির হোসেন,মো. মোলায়েম। আহতদের মধ্যে মো. জাকির, মো.আরফান,মো. সবুজ, মো.সাইফুল, মো. উজ্জ্বলের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে আনার পর মো. উজ্জ্বল এর অবস্থা আশংকা হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
জানা যায়,আহত পর্যটকেরা ঢাকা সাভারের ধামরাই এলাকা থেকে সাজেক ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সাজেক ভ্রমন শেষে খাগড়াছড়ি ঘুরে আজকে রাতেই তারা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার কথা ছিল।
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে জিপ উল্টে ১০ পর্যটক আহত হয়েছেন। তাঁরা সাভারের ধামরাই ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সাজেক ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক মো. ইমাম হোসেন জানান,সাজেক থেকে ফেরার পথে আমাদের সামনে থাকা জীপ গাড়িটি উল্টে যায়। প্রায় ১০-১৫ফুট নিচে খাদে পড়ে যায়। পরে আমরা এবং সেনাবাহিনী মিলে উদ্ধার করে আমাদের গাড়িতে করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আছি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনক সরকার দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাজেক ভ্রমণ শেষে সকালে খাগড়াছড়িতে ফিরছিলেন পর্যটকেরা। হঠাৎ জিপ গাড়িটি উল্টে সড়কের পাশে ৩০ ফুট নিচে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা ১০ পর্যটক আহত সেনাবাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন,সাজেক থেকে খাগড়াছড়িদে আসার পথে পর্যটকবাহী জীপ দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। সেখানে ১০জন পর্যটক ছিল,তারা সবাই কমবেশি আহত হয়েছিল। আহতদের সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়ে এসেছি।এরমধ্যে গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান,কিছুক্ষণ আগে সাজেক থেকে ফেরার পথে গাড়ী এক্সিডেন্টে আহত হয়ে ১০জন রোগী আমাদের হাসপাতালে এসেছে। এরমধ্যে ১জন গুরুতর আহত মনে হয়েছে। আমরা তাকে চট্টগ্রামে রেফার করার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। বাকিদের এখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *