
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ের উন্নয়নে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি বিভেদ ভুলে সকলেই মিলে একসাথে কাজ করলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনীতি ও জীবন মান উন্নয়ন সম্ভব । তিনি পার্বত্য এলাকায় কফি,কাজু বাদাম ও ইক্ষু চাষের মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়নে হবে আশা ব্যক্ত করেন ও পরিবেশ রক্ষায় বন উজাড় বন্ধের আহ্বান জানায়। তিনি পাহাড়ের মান সম্মত শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন। সোমবার (১০ফেব্রুয়ারী) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির নিয়ে সমালোচনা করে পরিষদ গঠনের অনুরোধ জানালে পার্বত্য উপদেষ্টা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইচ্ছে ও যোগ্যতা থাকলে অনেক কিছু করা যায়। জেলা পরিষদ গঠন হয়েছে প্রায় ৩ মাস অথচ এখনো পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্পের রুল তৈরী করতে পারেননি। বাকী তিন মাসে কখন টেন্ডার আহ্বান করবেন? কখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইচ্ছে ও যোগ্যতা থাকলে অনেক কিছু করা যায়। জেলা পরিষদ গঠন হয়েছে প্রায় ৩ মাস অথচ এখনো পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্পের তৈরী করতে পারেননি।
বাকী তিন মাসে কখন টেন্ডার আহ্বান করবেন? কখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন এমন প্রশ্ন রাখেন? তিনি বলেন, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের কারণে আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। সেবার মান জনবান্ধব হওয়া দরকার। তিনি লোক দেখানো কোন কিছু না করার আহবান জানিয়ে বলেন,জনগণের মন জয় করা জরুরি। আমরা চিরদিন থাকতে আসেনি। যত তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারবো তত গালিগালাজ কম খাবো। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা,পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার,যুগ্ন সম্পাদক মোশারফ হোসেন,খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ ভট্টাচাৰ্য্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান, সামরিক-বেসামরিক প্রতিনিধিরা।
