
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব চর্চায় এক নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র ইয়ুথ গ্রুপ। আস্থা প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী অ্যাডভোকেসি সভায় প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও তরুণ নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে জেলা সদরের মিলনপুর হিলটপ গেস্ট হাউজের কনফারেন্স হলে এই ব্যতিক্রমধর্মী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা অনেকের কাছে গণতান্ত্রিক চর্চার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য ধীমান খীসা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক অ্যাডভোকেট মঞ্জিলা ঝুমা।
আলোচনায় অংশ নেন জেলা পরিষদের সদস্য জয়া ত্রিপুরা,জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান অলকেশ চাকমা,ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুজন চাকমা,লক্ষীছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা,তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা,সংস্থার জেলা কো-অর্ডিনেটর ধনেশ্বর দেওয়ান,মনিটরিং ও রিপোর্টিং কর্মকর্তা মিহির কান্তি ত্রিপুরা,রেড ক্রিসেন্ট যুবপ্রধান আল আমিন
স্থানীয় উন্নয়ন,প্রশাসনিক স্বচ্ছতা,তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ,নির্বাচনী পরিবেশ,এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার বাস্তব চিত্র।
তরুণরা সরাসরি জনপ্রতিনিধিদের সামনে তাদের প্রস্তাব, অভিযোগ এবং প্রত্যাশা তুলে ধরলে, নেতৃবৃন্দও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে তা শুনে দেন করণীয়র আশ্বাস।বিশেষ করে তরুণদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয় সরকার কাঠামোয় যুব অংশগ্রহণের যে চিত্র সামনে আসে, তা অনেকের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায়।
সভায় আয়োজক ও বক্তারা জানায় যে, এই সভা ছিল শুধু একদিনের মতবিনিময় নয়—বরং এটি স্থানীয় নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে একটি গভীর সেতুবন্ধনের সূচনা। তরুণদের যে উৎসাহ, সচেতনতা ও নেতৃত্বগুণ উঠে এসেছে—তা আগামী দিনের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও প্রশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
খাগড়াছড়ির মতো পার্বত্য এলাকায় এমন একটি উন্মুক্ত, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা অঞ্চলিক উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং গণতন্ত্র চর্চার একটি অনুকরণীয় উদাহরণ বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
