
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: শিক্ষাক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তির সংযোজন এবং নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম (MMC) সিস্টেম কমিশনিং, টেকনিক্যাল ওরিয়েন্টেশন এবং বিতরণ অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের নয়, বরং সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। প্রতিটি ক্লাসরুম হবে প্রযুক্তির শক্তিতে সমতা প্রতিষ্ঠার কেন্দ্র।”
এই কার্যক্রম যৌথভাবে আয়োজন করেছে—খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (KHDC), Ecosystems Restoration and Resilient Development in Chittagong Hill Tracts (ERRD-CHT),প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (MoCHTA) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) এর অংশীদারত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কানাডা সরকারের অংশীদারত্বও গর্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ও সম্ভাবনা:
এই প্রোগ্রামের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হচ্ছে, যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরাও ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ পায়। এতে শুধু পড়াশোনার মান উন্নয়নই নয়, বরং নারীর আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাও বাড়বে।
এই কর্মসূচি পাহাড়ে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার বিস্তারে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করল। প্রযুক্তির সঙ্গে নারীর হাত মেলানোর এই প্রয়াস সমাজে গড়ে তুলবে জেন্ডার সমতা, আত্মবিশ্বাস ও টেকসই উন্নয়নের এক দৃঢ় ভিত্তি।
উৎসবের আবহে এই দিনটি খাগড়াছড়ির শিক্ষাক্ষেত্রে হয়ে থাকলো একটি স্মরণীয় মাইলফলক।
এ সময় জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আর মাহফুজ,জেলা পরিষদের সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ,নিটোল মনি চাকমা,প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা,ধনেশ্বর ত্রিপুরা,ইউএনডিপি’র জেলা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশ্লেষক প্রিয়তর চাকমা,উপজেলা ফেসিলিটেটিং এসোসিয়েট অংক্যছেন মারমাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
