ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান স্বারদীয় দুর্গোৎসব।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ের কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে। দেবীর অবস্থানকালে এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা দেবীর বন্দনা করেন।
দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হলো আজ। দেবীকে বিদায় জানাতে ইসলামপুর পাইলিং ঘাট (ব্রহ্মপুত্র) নদীর তীরে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্ত। বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় এখানে। এবার উপজেলায় ১৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয়া দশমীতে পূজা উদযাপনের প্রধান আচারের অংশ হিসেবে এদিন নারীরা সিদুঁর খেলায় অংশ নেন। মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন, যা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলার অংশ। এই আচারটি দেবী দুর্গার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তারপর হিন্দু নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর মাখিয়ে জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করেন।
হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেখতে জড়ো হয়েছেন পাইলিং পাড় (ব্রহ্মপু্ত্র) নদীর ঘাটে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় অনেক ভক্ত অশ্রুসিক্ত থাকেন। আবার অনেকেই ক্ষণটিকে সুন্দর করে কাটাতে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেন। বিসর্জনের আয়োজন দুর্গা পূজার স্থায়ী সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে।
বিজয়া দশমী বিসর্জনের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে ইসলামপুর উপজেলায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ, সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুুর সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী অমুল্য রতন পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ইসলামপুর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি শ্রী নারায়ন চন্দ্র কর্মকারসহ অনেকেই ।
বির্সজনে প্রশাসনের সহযোগিতায় পূজা উদযাপন করতে পারায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।