জামালপুর প্রতিনিধি :
নবাগত পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম (সেবা) বলেছেন, কোনো অপরাধীর ঠাই জামালপুরে হবে না, তাদের সংশোধন হতে হবে, নতুবা এ জেলা ত্যাগ করতে হবে। মাদক-সন্ত্রাসসহ অপরামুলক কর্মকান্ড রুখতে সাংবাদিকসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেসক্লাব জামালপুর ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নবাগত জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম (সেবা) এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান লিখন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অনলাইন জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রাজন্য রুহানী, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রথম আলোর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় সাংবাদিকরা নবাগত পুলিশ সুপারের কাছে মাদক, ইভটিজিং ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের যানজট, অবৈধ যানবাহনের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ডাকাতিসহ জেলার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
এ সময় নবাগত পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকদের থেকে গঠনমূলক সমালোচনা ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জেলার পুলিশ প্রশাসনের কোনো দপ্তরে ঘুষ বা দুর্নীতি থাকবে না। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। সেবামূলক কাজে অনেকেই পুলিশের কাছে আসেন। এ ক্ষেত্রে যেকোনো পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মাসুদ আনোয়ার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সোহেল মাহমুদ পিপিএম সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রেসক্লাব জামালপুরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইমুম সাব্বির শোভন, কোষাধ্যক্ষ সাগর ফরাজী, দেশ রুপান্তরের ময়না আকন্দ কার্যনির্বাহী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এম. সুলতান আলম, আরিফ আকন্দ, মোস্তাফিজুর রহমান কাজলসহ প্রেসক্লাব জামালপুর, অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।