ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রি পরিষদ সচিব এ.এস.এম আব্দুল হালিমকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে উপজেলার বিএনপি’র নের্তাকর্মীরা।
শনিবার (২৪ আগস্ট ) দুপুরে থানা মোড় বটতলা চত্বরে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদনী সরকারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রি পরিষদ সচিব এ.এস.এম আব্দুল হালিম।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে গেছে। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল হয়ে শেখ হাসিনা সহ তার মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে, দেশটা অনেক পিছিয়ে ফেলেছে। দুর্নীতির একটা নীতি আছে,আওয়ামী লীগ সরকার যে দুর্নীতি করেছেন তাদের মাঝে কোন নীতি নেই। তিনি বলেন, রক্ত পিপাসু স্বৈরাচারীনি হাসিনা শত শত ছাত্র জনতাকে হত্যাকরে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। এ দেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছে। বড় বড় প্রকল্প ধান্ধা সাজিয়ে লুটপাট করেছে। বিএনপি একটি ভাল দল কি না বিএনপির সাথে কাজ করার জন্য সকলকে আহবান জানান। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটা কথা সব সময় খেয়াল রাখবেন নেতার চেয়ে কর্মী বড় তাদের কে মূল্যায়ন করতে শিখুন।
মোঃ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বনিক সমিতির সভাপতি আউয়াল খান লোহানী, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মিন্টু, জাকিউল ইসলাম তিব্বত, সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বাবলু মন্ডল, যুবনেতা সাখাওয়াত হোসেন সুজন, কুলকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান ও চর পুটিমারি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আহম্মদ আলী প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলার ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিব এ.এস.এম আব্দুল হালিম কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের যে সকল ছাত্র শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে আত্মার মাগফেরাত ও দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।