বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক এর উপর হামলা

সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:
ঘটনাটি ঘটে রংপুর নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড খোদ্দ রংপুর এলাকায়।স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় খোদ্দ রংপুর কলেজ রোড,মাহিগঞ্জ এলাকার মৃত্যু-সাইদ এর পুত্র বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রংপুর জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল এর উপর হামলা চালায় অত্র এলাকার আঃ মজিদের পুত্র হারুন অর রশিদ (৪৫) ও তার ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী। অভিযোগে ইব্রাহীম খলিল জানান আমার পারিবারিক চলাচলের রাস্তাসহ জমির সিমানা নিয়ে বিরোধ ও মনোমালিন্য চলছে হারুন অর রশিদ এর সাথে। ঘটনার দিন আমাকে একা পেয়ে আমাকে মারপিট করে আমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমার স্ত্রী সেখানে এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে আমার সন্তানদের হুমকি প্রদান করে পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘটনা স্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অটোরিকশা যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ বিষয়ে ইব্রাহীম খলিল এর স্ত্রী শামসুন্নাহার বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শামসুন্নাহার অভিযোগ করে বলেন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এর আগেও আমার স্বামী কোটে গিয়া একাধিক মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহার মামলা গুলো যথাক্রমে অন্য ৫০৬/২৪ ও এম আর ২৪৭/২৪। তাদের অন্যায় অত্যাচারের কারনে আমরা থানায় একাধিক অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা আমাদের একের পর এক আর্থিকভাবে ক্ষতি করিয়া আসে। আমি কিংবা আমার স্বামী কে তারা কথায় কথায় লাঠি ছোড়া নিয়ে আমাদেরকে মারতে আসে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিলে আমাদের মারধর করে। এইভাবে আমরা তাহাদের দ্বারা প্রচন্ডভাবে অত্যাচারিত হয়ে জীবন যাপন করছি। ঘটনার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ২০২৫ তারিখ রাত ৮ দিকে আমার স্বামী ইব্রাহীম খলিল মাহিগঞ্জ বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হইতে আমাদের বাড়ী আসার সময় হারুন অর রশিদ এর বাড়ীর সামনে রাস্তায় পৌছা মাত্র হারুন অর রশিদ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন হাতে লাঠি সোঠা ছোড়া লোহার পাইপ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে আমার স্বামীর পথরোধ হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমার স্বামীর চিৎকারে আমি দৌড়ায় আসি আমার স্বামীকে রক্ষার চেষ্টা করিলে আমাকেও এলোপাতারীভাবে কিলঘুষি মারে।হারুন আমার স্বামীর গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।হারুন আমাকে টানা হেছড়া করিয়া শ্লীলতা হানি ঘটায়। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের ৬ আনা ওজনের চেইন মুল্য অনুমান ৪০,০০০/- টাকা ছিনিয়া নেয় ।

আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা আমাদেরকে পরবর্তীতে সুযোগ পাইলে বড় ধরনের ক্ষতি করিবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে আমি সাক্ষীদের সহায়তায় আমার স্বামীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অটোযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।আমি বাসায় ব্যাথার ঔষধ সেবন করে সুস্থ্য হই। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় ১- হারুন অর রশীদ(৪৫) ২- রুমি বেগম (৩৭) ৩-বিপ্লব (৩০) ৪- মজিদ মিয়া (৬৭) ৫- নাজমুল হোসেন (৩০) কে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন অর রশিদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হোলে তিনি বলেন আমি তার উপরে হামলা চালায় নি বরং সেও তার স্ত্রী আমার উপরে হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *